“শীতকাল কবে আসবে সুপর্ণা -” “আমি তিন মাস ধরে নাক ঝাড়বো “– শেষ হেমন্তের বিকেলে ঠিক এভাবেই, এক লাইনে একটা কবিতার এন্তেকাল ঘটিয়ে আমাদের বন্ধুটি নীরবেই দাঁত খুঁটিয়ে হাঁসের মাংসের টুকরো ছাড়ানোর চেষ্টায় মন দিল। এই আধ মিনিট নিস্তব্ধতায় দুজন বাদে সবাই তাড়াতাড়ি ভেবে নিচ্ছিল পরবর্তী পদক্ষেপ – হোহো করে হাসি না কি কুকথায় মুণ্ডুপাত। বাদবাকি দুজনের এক জন মুহ্যমান হয়ে ভাস্কর চক্কোত্তির কথা ভাবছিল – মুখে তখনও সুপর্ণার রেশ মিলিয়ে যায়নি – আর অন্যজন অবলীলায় নির্ভাবনায় দাঁত খুঁচিয়ে চলেছিল। এই দৃশ্যটি না হোক কিছু বছরের পুরোনো। সেদিনের সবাই এখন এদিক ওদিক ছড়িয়ে- সেই মুহ্যমান বন্ধু ছাড়া অন্যদের সাথে যোগাযোগ নেই প্রায়। কিন্তু শীতকাল আসার আগেই মনে আসে এই বিকেলের কথা। শীতকাল আসার আগেই মনে হয় যে এবারে তিন মাস ধরে নাক ঝাড়ার দিন আসছে। ভাস্কর কবির কাছে আন্তরিক ক্ষমা চেয়ে নিয়েই বলছি, সুপর্ণার সাথে নাক ঝাড়ার সম্পর্কটাই সেদিন থেকে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তে পরিণত হয়েছে – আর খুনি আজও ফেরার। কথাটা… |
View original post 638 more words